অমর একুশে গ্রন্থমেলার ষষ্ঠ দিনের সকালটা দখল করে নিয়েছে শিশুরা। সকাল ১১টা থেকে শিশু ‘শিশু প্রহর’ শুরু হলেও শুক্রবার সকাল থেকে অভিভাবকদের সঙ্গে মেলায় আসতে থাকে শিশুরা। তারা এক স্টল থেকে অন্য স্টলে ঘুরছেন আর চোখ বুলাচ্ছেন মজার সব বইয়ের পাতায়। এর মধ্য দিয়ে এবারের মেলা অনেকটা তার চিরচেনা রূপে ফিরে এসেছে বলে জানান মেলা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এর আগে সকাল সাড়ে আটটায় শুরু হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
বইমেলা পরিণত হয়েছিল শিশুদের আনন্দ মেলায়। সকাল ১১ টা থেকেই শিশুরা ভিড় করে নির্ধারিত শিশু কর্নারে। সকালেই মেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোরদের চূড়ান্ত সঙ্গীত প্রতিযোগিতা।
ঘাসফুল-নদী প্রকাশনীর প্রকাশক মুনির হাসান ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, শিশুপ্রহরের সময়টা অনেক চমৎকারভাবে কাটে। আমরা যারা শিশুদের জন্য বই প্রকাশ করি, তারা অনেক খুশি থাকে। শিশুদের আনন্দ দেখার মধ্যেও একটা আনন্দ আছে। প্রকাশক হিসেবে এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া।
কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, শিশুদের জন্য মেলার এই আয়োজনটি এক কথায় অসাধারণ। গতবার শিশুপ্রহরে যাওয়া হয়েছে। এবারও যাব। শিশুদের সঙ্গে মিশতে আমি সব সময় আনন্দ বোধ করি। তাদের আনন্দে বড়দের মতো জটিলতা থাকে না।
এদিকে গত পাঁচ দিনে বইমেলা ভালোই জমে উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মেলায় নতুন বই এসেছে ১১৮টি। এ নিয়ে পাঁচ দিনে বই এলো ৩৩২টি। এর মধ্যে কথাপ্রকাশ এনেছে হাসান আজিজুল হকের ‘রাজনীতির অলিগলি’। সনজীদা খাতুনের ‘রবীন্দ্রকবিতার গহনে’ মেলায় এনেছে শোভা প্রকাশ।
মূল মঞ্চে আলোচনার বিষয় ছিল বাংলা একাডেমি প্রকাশিত নূহ উল আমিন লেনিনের ‘রাজনীতিতে হাতেখড়ি ও কলকাতায় শেখ মুজিব’। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মোহীত উল আলম। সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ হাসান ইমাম।
ডেইলি বাংলাদেশ/টিআরএইচ